বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ থেকে মোহাম্মাদ শাহ্ আলমঃ— হবিগঞ্জ সদর থানায় চেক ডিজঅনার মামলার আসামী ফারুক মিয়াকে (৪৫) পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তবে বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে সদর থানা থেকে আসামিকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাঃ মিঠুন চক্রবর্তী মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে রাত ৩ টার দিকে সদর থানার একদল পুলিশ আসামিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত আসামি ফারুক মিয়া শহরের মোহনপুর এলাকার সঞ্জব আলীর ছেলে। সে ১৫ হাজার টাকার একটি চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ছিল।
নিহতের ছোট ভাই নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, রাত ৩টার দিকে সদর থানার একদল পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সেখান থেকেই মারতে মারতে আসামিকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থানায় এনেও রাতভর নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আসামি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী আসামিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় জানান, পুলিশ অসুস্থ অবস্থায় ফারুক মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে এলেই তার মৃত্যু হয় এমনকি তার শরীরে অংশ আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, মৃত্যুবরণকারী ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় সাজা পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তিনি একজন হার্টের রোগী। রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে তিনি হার্ট এ্যাটাক করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এঘটনার খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে যান পুলিশ মোহাম্মদ উল্ল্যা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম, সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী, পুলিশ পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া হাসান, মোঃ জিয়াউর রহমান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, আসামিকে রাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পরে। যার ফলে সে স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। তবে যদি পুলিশ দায়ি তাকে তাহলে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply